বই হলো জ্ঞানের ভান্ডার।

এই ‘বই’ বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন: কিতাব, পুস্তক, গ্রন্থ, পুঁথি, পাণ্ডুলিপি, বহি, book ইত্যাদি।

বই মানুষের চিন্তা, চেতনা, ধারণা, মতামত ইত্যাদি এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেয়। ইতিহাস, গবেষণা, মনের ভাব, অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রেক্ষাপট ইত্যাদি সংরক্ষিত হয় বইয়ের মাধ্যমে। বই গবেষণার ক্ষেত্র নির্বাচনে সহযোগিতা করে কেননা বই সংস্কৃতি, সভ্যতা ও যোগাযোগের অন্যতম ধারক ও বাহক। শতাব্দীর সঙ্গে শতাব্দী, মানুষের সঙ্গে মানুষ, প্রবীণের সঙ্গে নবীন, অতীত থেকে বর্তমান, বর্তমান থেকে ভবিষ্যত, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের সেতু বন্ধন তৈরি করে বই।

কুসংস্কার, কূপমন্ডুকতা, অন্ধ বিশ্বাস, অসততা, দুর্ণীতি, স্বার্থপরতা ইত্যাদি দূরীকরণ এবং মানবিকতাপূর্ণ শোভন জীবন গঠনের জন্য নিম্নবর্ণিত তিনটি বস্তুকে দৈনন্দিন জীবন চলার পাথেয় করা আবশ্যক বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি:
ক) বই;
খ) বই; এবং
গ) বই।

বই পড়ার সুবিধা হলো-
১। শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ করে;
২। লেখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে;
৩। কথা বলায় দক্ষতা বৃদ্ধি করে;
৪। শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক;
৫। স্মরণ শক্তি ও কল্পনা শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে;
৬। মানসিক প্রশান্তি ও উদ্দীপনা বৃদ্ধির সাথে সাথে শারীরিক অবসাদ দূর করে;
৭। জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে;
৮। অপরের নানামুখী অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষমতা অর্জন;
৯। Critical thinking এ পারঙ্গমতা অর্জন;
১০। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং আত্মসম্মাণ বৃদ্ধি;
১১। মনযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি একাগ্রতা অর্জন;
১২। যেকোন আলোচনায় সপ্রতিভ উপস্থিত থাকা;
১৩। সহমর্মিতা, সহানুভূতি এবং সমবেদনাপূর্ণ গুণাবলী অর্জন;
১৪। অসৎ চিন্তা থেকে দূরে থাকা এবং ভালো ঘুমের নিশ্চয়তা;
১৫। একটা পছন্দের ভালো বই-ই পারে মোবাইল স্ক্রিন থেকে মনযোগ সরাতে;
১৫। সর্বোপরি শিক্ষামুলক আচরণ (Learning Behaviour) -এর মাধ্যমে সহজাত আচরণ (Instinct Behaviour)-এর নিয়ন্ত্রণ।

কোন অজুহাত নয় বেশি বেশি বই পড়ুন অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।
বই পাঠ শিক্ষা নিশ্চিত করে আর শিক্ষা সমাজের কাঙ্ক্ষিত আচরণের পরিবর্তন ঘটায়।